“আমাকে যিনা করার অনুমতি দিন!” – এক যুবক ও রাসুল ﷺ এর শিক্ষণীয় সংলাপ

একবার রাসুল (সা.) এর কাছে এক যুবক এই আবেদন করল। এই অশালীন আবেদন শুনে সাহাবায়ে কেরাম রা. চারদিক থেকে তাকে ধমকাতে লাগলেন। চারপাশ থেকে আওয়াজ উঠল, চুপ কর, চুপ কর!
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে কাছে ডাকলেন। সে এসে রাসুলের সামনে বসল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, বলো তো, এই কাজ (ব্যভিচার) তোমার মায়ের সাথে কেউ করলে তুমি কি মেনে নিতে পারবে?
সে বলল, আল্লাহর কসম, না, কখনোই না। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে অন্য মানুষ কীভাবে তাদের মায়েদের সম্পর্কে এটা সহ্য করতে পারবে? এরপর তিনি তাকে একই প্রশ্ন করলেন তার মেয়ে, বোন, ফুফু ও খালার সম্পর্কে। প্রতিবারই সে একই উত্তর দিলো, 'না, আল্লাহর কসম, আমি এটা কখনোই মেনে নিতে পারব না।'
তখন রাসুল (সা.) বললেন, তুমি যেই নারীর সঙ্গে এই কাজ করার ইচ্ছা করছ, সে-ও তো কারও মা, মেয়ে, বোন, ফুফু কিংবা খালা। তাহলে মানুষ কীভাবে এটা সহ্য করবে?
এরপর নবিজি (সা.) তার উপর নিজের পবিত্র হাত রেখে দুআ করলেন, 'হে আল্লাহ, তার গুনাহ মাফ করে দাও, তার অন্তরকে পবিত্র করে দাও এবং তাকে পূত-পবিত্র বানিয়ে দাও।' এরপর থেকে সেই যুবক কখনোই কোনো নারীর দিকে চোখ তুলে তাকায়নি।
এটিই হচ্ছে নবুওয়াতের প্রকৃত রূপ। দেখুন, একদিকে তিনি কত বুদ্ধিদীপ্ত উপদেশ দিলেন, অন্যদিকে কী আবেগময় দুআ করলেন! যদি তিনি শুধু দুআতেই সীমাবদ্ধ থাকতেন, তাহলে এই ঘটনা হয়তো কেবল সেই যুবকের জন্যই একটি আশ্চর্য ব্যাপার হয়ে থাকত। কিন্তু তিনি যেভাবে উপদেশ দিলেন, তা কেয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি বিবেকবান মানুষের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে।
নববি আখলাক বই থেকে নেয়া।
What did you learn from this blog?
ReplyDeleteYou’re welcome to share your thoughts.