স্ত্রী নির্বাচনে রাসূল ﷺ এর নির্দেশনা: ইসলামিক দৃষ্টিতে সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাই

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'চারটি জিনিস দেখে নারীকে বিবাহ করা হয়: রূপ, বংশ, সম্পদ, ধার্মিকতা। ধার্মিকতার অধিকারিণীকে নিয়ে তুমি ধন্য হও। (সহিহুল বুখারী, সহিহু মুসলিম) নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, 'দুনিয়া হলো ভোগসামগ্রী। আর সমস্ত ভোগসামগ্রীর মধ্যে উত্তম হলো ধার্মিকা নারী।(সহিহু মুসলিম, সহিহুন নাসাই)
হ্যাঁ, হে যুবক, দীনকে তুমি তোমার লক্ষ্য স্থির করো। শুধু রূপের পেছনে পোড়ো না। বংশকৌলীন্য ও নারী উন্নয়ন আন্দোলন যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে দেয়। এর চাকচিক্য ও নগ্নতা এবং বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানাদিতে এর অশ্লীল মেলামেশার প্রতি তুমি ভ্রুক্ষেপ কোরো না। সেখানে চলে মৃদু হাসি ও অট্টহাসি। ফলে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে কুবাসনায় লিপ্ত হয়।
শীঘ্রই এই নারী তোমাকে দাইয়ুস বানিয়ে ছাড়বে, যদি তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তার কাজেকর্মে তুমি সন্তুষ্ট থাকো। দাইয়ুস হলো সে, যার মধ্যে আপন স্ত্রীর ব্যাপারে আত্মমর্যাদাবোধ কাজ করে না।
নারীর সম্পদও যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে দেয়। কারণ, সম্পদ হলো ক্ষণিকের ছায়া। সঠিক উপায়ে কাজে লাগানো না হলে তা মালিকের জন্য বিপদ ডেকে আনে। সম্পদের অধিকারী যে হয়-তাকে প্রতারিত করে সম্পদের লোভ, আখেরাতের ওপর দুনিয়াকে প্রাধান্য প্রদান, শয়তানের অনুসরণ, রহমানের বিরুদ্ধাচরণ। নাউযু বিল্লাহ!
আপনি একজন নারী নির্বাচন করছেন-তার অর্থ হলো, আপনি আপনার ভবিষ্যৎ স্ত্রী নির্বাচন করছেন এবং আপনার সন্তানদের মা নির্বাচন করছেন। কাজেই এই নির্বাচনের ভিত্তি হওয়া চাই দীন।... তাকে হতে হবে পর্দানশিন, ঘরে অবস্থানকারিণী।
অন্তরে সে লালন করবে এমন দাম্পত্য জীবনের প্রত্যাশা, যাতে থাকবে স্থায়িত্ব ও স্থিরতা এবং যার ভিত্তি হবে একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার ওপর এবং দয়া-মায়া ও প্রেম-ভালোবাসার ওপর। তাকে এমন হতে হবে, নারী স্বাধীনতা ও সমান অধিকারের স্লোগান তাকে প্রভাবিত করেনি। সম্পদ, প্রসিদ্ধি ও বংশমর্যাদার কারণে সে স্বামীর ওপর অহংকার প্রদর্শন করে না।
স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পুরুষকে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব উপদেশ দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, স্ত্রী যেন কুমারী হয়। কেন? কারণ, কুমারীর মধ্যে বিবাহের পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকে না। বিবাহ তার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। ফলে স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় নিবিড় ও গভীর। কবি বলেন, 'প্রীতি তো পায় প্রথম প্রীতিভাজন।'
হযরত জাবের (রাযি.) বলেন, 'আমার বিবাহের পর বেশি দিন বিগত হয়নি, একদিন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, 'কুমারী, না বিধবা?' বললাম, 'বিধবা।' বললেন, 'কুমারী কেন বিবাহ করলে না? সে তোমার সঙ্গে খেলা করত, তুমি তার সঙ্গে খেলা করতে?”(বুখারী, মুসলিম)
দাম্পত্যের ছন্দপতন বই থেকে নেয়া।
What did you learn from this blog?
ReplyDeleteYou’re welcome to share your thoughts.